,

নবীগঞ্জের বেলাল হত্যা মামলার অন্যতম আসামী শিপন গ্রেফতারসিএনজি ষ্ট্যান্ড দখল নিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত

উত্তম কুমার পাল হিমেল ॥ নবীগঞ্জ-আইনগাঁও সড়কের রুদ্রগ্রাম রোডস্থ সিএনজি ষ্ট্যান্ডের দখল-বেদখলকে কেন্দ্র করে দু‘পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ম্যানেজার মুনসর উল্লার দায়েরী মামলার এফআইআর ভুক্ত অন্যতম আসামী শিপন মিয়া (৩৫) কে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। ধৃত শিপন মিয়া পৌর এলাকার রাজনগর গ্রামের তালেব আলীর ছেলে। এছাড়া উক্ত শিপন মিয়া নবীগঞ্জে প্রকাশ্যে দিবালোকে চাঞ্চল্যকর বেলাল মিয়া হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত এবং অজ্ঞাতনামা তালিকার সন্দেহভাজন আসামী বলে অভিযোগ করেছেন নিহত বেলাল মিয়ার পিতা ফারুক মিয়া। উল্লেখ্য, নবীগঞ্জ-আইনগাঁও সড়কের রুদ্রগ্রাম রোডস্থ সিএনজি ষ্ট্যান্ডে দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার নোয়াপাড়া গ্রামের ফারুক মিয়া, দুলাল মিয়া ও মাইজগাঁও গ্রামের মনসুর উল্লা গংরা ম্যানাজার হিসেবে দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় একই এলাকার মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে সামছু মিয়া ও খনকারীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছাত্রদল নেতা রায়েছ চৌধুরী গংরা উক্ত ষ্ট্যান্ড জবর দখলের চেষ্টা করে। ব্যর্থ হয়ে তারা সামছু মিয়ার বাড়ির সামনে ওই সড়কে চলাচলরত সিএনজি গাড়ীতে বাধা দিয়ে আটক করে। এনিয়ে গত ২৫ এপ্রিল দুপুরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। উক্ত সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। উক্ত সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত বেলালের ভাই আহত হেলাল মিয়ার একটি চোখ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় সিএনজি ম্যানাজার মনসুর উল্লা বাদী হয়ে ধৃত শিপন মিয়াসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা নং ৩৫ তারিখ-২৬-০৪-২০১৫ইং জি.আর-১২৭/১৫ দায়ের করে। ওই মামলার অন্যতম আসামী হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ওসমানী রোড থেকে থানার এস.আই আবুল কালাম আজাদ’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ শিপন মিয়াকে গ্রেফতার করে। এছাড়া উক্ত সংঘর্ষের ঘটনার একদিনের মাথায় ২৬ এপ্রিল শহরের শেরপুর রোডস্থ মাইওয়ান ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের সামনে দাড়ানো অবস্থায় পুর্বের ঘটনার জেরধরে সামছু ও রায়েছ চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বেলাল মিয়াকে খুন করে। আগের দিন প্রতিপক্ষের হাতে ফারুক মিয়ার বিএ পরীক্ষার্থী হেলালের চোখ নষ্ট, পরদিন ওই সন্ত্রাসীদের হাতে ছোট ছেলে বেলাল খুন’র ঘটনায় তাদের পিতা ফারুক মিয়া দিশেহারা হয়ে পড়ে। এদিকে শিপন গ্রেফতারের খবর পেয়ে বেলাল হত্যার বাদী ফারুক মিয়া জানান, তার একটি ছেলের চোখ নষ্ট, অপর ছেলে খুন হওয়ায় দিশেহারা থাকায় হত্যা মামলায় শিপনকে আসামী দিতে পারিনি। তবে অজ্ঞাতনামা হিসেবে তাকে ঘটনার পর পরই খোঁজে বেরিয়েছি। তিনি আরও বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শিপন তার ছেলে হত্যার অজ্ঞাতনামা আসামী হিসেবে সনাক্ত করেছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই নজরুল ইসলাম জানান, হত্যা মামলার বাদী ফারুক মিয়া তাকে ফোনে শিপনের বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি ঢাকায় ট্রেনিংয়ে থাকায় কিছু বলতে পারছেন না। তবে বিষয়টি যাচাই পুর্বক উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর